জীবন দর্শন -৩
সংসারে যে জিনিসটা সবথেকে বেশি প্রয়োজন সেটা হচ্ছে একে অপরের প্রতি সম্মান। ভালোবাসা খুব দ্রুত ফুরিয়ে যায় যদি সম্মান না থাকে।
পুরুষ এবং নারী কখনই একে অপরের সমকক্ষ বা প্রতিযোগী নয়। মিলিয়ন বছরের অভিযোজনে মানব সমাজে পুরষের দায়িত্ব এবং নারীর দায়িত্ব আলাদা। তাদের কর্মক্ষেত্রও আলাদা।
জগতের সকল জীবের একমাত্র লক্ষ্য বংশ বিস্তার করে সবচেয়ে সেরা প্রজাতি তৈরি করা। একারনেই শক্ত সমর্থ, বলশালী পুরুষ এবং সুন্দরী নারীরা বিয়ের বাজারে অগ্রগন্য। এটা প্রকৃতির নিয়ম। মানুষ নানা গল্প বানায় আর বিশ্বাস করে এই সত্যকে লুকিয়ে রাখার জন্য।
সঙ্গী বাছাইয়ের প্রক্রিয়ায় প্রাচীনকালে এই পরীক্ষায় সবার আগে থাকত দক্ষ শিকারীরা। কারন তারা খাদ্যের যোগান আর নিরাপত্তা দিতে পারত। তারপরের যুগে বিজয়ী যোদ্ধারা। ক্ষমতাশালী রাজারা অনেক পত্নী এবং উপপত্নী গ্রহন করতেন।
সভ্যতা অনেক এগিয়েছে, এখন নায়ক-নায়িকারা চাহিদার শীর্ষে, সবার আগে অগ্রগণ্য হন এথলেটরা। ভালো ফুটবলার এবং ক্রিকেটারকে ঠিক এই প্রাকৃতিক কারনেই নারীরা খুব পছন্দ করে। পুরোটাই জৈবিক, বংশবিস্তারের আদিম জীনগত তাড়না।
শারীরিক ক্ষমতা কম হলেও, অর্থের ক্ষমতা মানুষকে একইরকম ভাবে বংশবিস্তারের ক্ষেত্রে আকর্ষনীয় করে তোলে। সবকিছুর মূলেই বংশবিস্তারের প্রাকৃতিক ইচ্ছা।
কবি সাহিত্যিকরা এই প্রাকৃতিক ধারায় অনেক পেছনে পড়ে। তাদের না থাকে অর্থ, না আছে ক্ষমতা। বলশালী এবং সুন্দর না হলেও তারা বাকপটু হন। তারা আবেগকে কাজে লাগান সঙ্গী নির্বাচন প্রক্রিয়ায়।
প্রকৃতিতে ফুল যেমন আপনাকে বিমোহিত করার জন্য ফোটে না। সে তার বংশ বিস্তারের ধারা অব্যাহত রাখার জন্যই নানা রঙে নিজেকে সাজায়। পাখিরাও একই কারনে মধুর সুরে ডাকে। জগতের মোদ্দা কথা টিকে থাকা এবং সেরা সঙ্গী নির্বাচন করে আগের প্রজন্মের যে শারীরিক সমস্যা থাকে তা কাটিয়ে ওঠা।
আজকের কোন প্রজাতিই একবারে আসেনি এই পর্যায়ে। ট্রায়াল এন্ড এরর এর মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে সবাইকে। সেরা বলে কিছু নেই এবং নিখুঁত বলেও না।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন