পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০২৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

নোনতা দুঃখ

একটা শব্দ গত তিনদিন ধরে মাথার ভেতরে ঘুরছে। কোনভাবেই যাচ্ছে না। ঘুম থেকে উঠি আবার ফেরত আসে।

সাধারনত এরকম কিছু হলে আমার খুব অশান্তি লাগে। আমি তখন কাগজ কলম নিয়ে বসে পড়ি অথবা কীবোর্ডের সামনে বসে সেটাকে ঘষামাজা করি।

Out of favor, out of luck
I became the shadow in your dark.
Don't find me; don't ring me to say "hello."
Deep inside I became hollow
There is no pearl in my eyes, only salty sorrow.

 

না, আমি ইংরেজী কবিতা লিখছি না। ইংরেজী কবিতা লেখার জন্য ইংরেজী ভাষাটাকে যেভাবে অনুভব করা দরকার সেটা এখনও পারি না। যেকোন ভাষায় কবিতা লেখার জন্য সেই ভাষার দুঃখ আর কৌতুকগুলো ভাল করে হৃদয়ের মাঝে, মানে মগজে গেঁথে নিতে হয়। ইংরেজী জোকস বুঝতে পারলেও, তাদের দুঃখ আমি এখনও বুঝতে পারি না।

কবিরা শব্দের সবচেয়ে বড় জাদুকর হয়ে থাকেন। হয়ত কোন একদিন আমি বাংলা ভাষাতেও এইরকম জাদু দেখাতে পারব।

ওহ... যে শব্দটা মাথার ভেতরে ঘুরছিল সেটা হচ্ছে, "Salty Sorrow" - বাংলায় "নোনতা দুঃখ"। হুমায়ূনের ভাষায় বেদনার রঙ মনে হয় নীল। "নীল অপরাজিতা" নামে তার একটা বই আছে। আমার কাছে বেদনার কোন রঙ নেই, তবে স্বাদ আছে। সেটা চোখের পানির মত নোনতা। খুব আরাম করে গিলে খেয়ে ফেলা যায়।




না

কিছু মানুষ না শব্দটা শুনতে পারেন না। বা শুনেও না শোনার ভান করেন। বাচ্চার স্কুলে নিয়মিত যাওয়া-আসার সুবাধে কিছু মানুষের সাথে আমার পরিচয় হয়েছে। এরা মাঝে মধ্যে আমাকে অদ্ভুত কিছু অনুরোধ করেন। কারো পাসপোর্টের ফর্ম কিংবা ভিসার ফর্ম ফিলাপ করে দেয়া টাইপের। আমি প্রথম দিকে "তারা পারেন না" এই মর্মে করে দিতাম। ইদানিং দেখলাম, তারা নিজের কাজ বাদেও অন্যদের কাজও আমাকে দিয়ে করিয়ে নিতে চাচ্ছেন।

মূলত এইটা আমার কাজ না। আমি আমার প্রফেশন আর লেখালেখি নিয়ে প্রচুর ব্যস্ত থাকি। এর মধ্যে বাচ্চাকে সময় দেয়া, রান্না করা, বাজার করা ইত্যাদি কাজও আমাকে করতে হয়। সেখানে অন্য কারো জন্য ভদ্রতার খাতিরে ফ্রি সময় বের করা আমার জন্য খুব কষ্টের।

তো একটা মাত্র উপায়, সেটা হচ্ছে না বলে দেয়া। এই "না" বলতে না পারলে আমাকে বেশ ভুগতে হয়। আবার কিছু মানুষকে না বলার পরও তারা বুঝতে পারেন না। অথবা বুঝতে চান না। 

শুধু আমি পারি বলেই যে কোন কাজ করতে আমি বাধ্য নই। তাই আমি এদের এড়িয়ে চলা শুরু করেছি। যে সময়টা আমি সোশ্যালাইজিং নামক একটা অদ্ভুত জিনিস করতাম সেটা এই মাস থেকে বাদ দিয়েছি। এখন সময় পেলেই আমি বাসায় বসে বই পড়ি অথবা নিজে নিজে একা ঘুরতে বের হই। 

যথেষ্ট নেটওয়ার্কিং হয়েছে, এবার থামতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের জন্য একটা কথা খুব প্রযোজ্য, বান্দরকে লাই দিলে সে মাথায় উঠে বসে। নতুন কারো সাথে পরিচিত হওয়াটা আমার কাছে এখন একটা আতংকের নাম।

আমার এক বন্ধু আমাকে একবার উপদেশ দিয়েছিল, যে কাজটা তুই ভালো পারিস সেটা কখনো ফ্রিতে করে দিবি না, বাঙ্গালিকে তো আরো বেশি করে না।

আমি নিভৃতচারী মানুষ, সেভাবেই থাকাটা আমার জন্য বাঞ্ছনীয়। আমি ফ্রিতে কারো কাছ থেকে কিছু আশা করি না, আমি চাই আমার কাজের সময় অন্যরাও আমাকে একইরকম ভাবে বিরক্ত না করুক।

প্রযুক্তির ব্যবহার যদি আপনি শিখতে না পারেন তবে ঝরে যাবেন। সামান্য কম্পিউটারের কাজ যেটা সবার জানার কথা এই যুগে এসে, সেটাও ঢাকা শহরের মত জায়গায় বসে অন্যকে দিয়ে করিয়ে নেয়ার মানে আপনি যুগের সাথে তাল মিলাতে ব্যর্থ হয়েছেন।

আপনার জন্য সামনে আরো কঠিন সময় অপেক্ষা করছে।


বানিয়ালুলু - শিবব্রত বর্মন

মাঝে মধ্যে কিছু বই পড়লে হুট করে আমার ইউরোপিয়ান সাহিত্যের কথা মনে পড়ে যায়। ওদের গল্প বলার ঢঙটা আলাদা রকমের। বানিয়ালুলু নামের এই সায়েন্স ফিকশন অথবা ফ্যাণ্টাসি বই পড়ে আমার সেরকম একটা অনুভুতি হল। 

আমি পাঁড় সায়েন্স ফিকশন ভক্ত। সেটা মুভিই হোক আর বই। ব্ল্যাক মিররের মত সাইফাই ফ্যান্টাসি তাই আমাকে খুব নাড়া দিয়ে যায়। শিবব্রত বর্মনের বানিয়ালুলু অনেকটা সেরকম লাগতে পারে আপনার কাছে। গল্পগুলো একটা নির্দিষ্ট সীমায় বাঁধাটা কঠিন। কখনো মনে হবে পরাবাস্তুব আবার কখনো মনে হবে বিজ্ঞানের সীমার মাঝেই আছে।



অর্থহীন আলাপ

দেখব বলেই অনেক কিছু দেখা হয় না। ঘুমাই, খাই-দাই, আবার ঘুমাই। জীবনের সীমিত সময় চলে যায় আনন্দ উপকরণ জোগাড় করতে গিয়ে। এখন মেনে নিয়েছি যে অনেক কিছুই এই জীবনে করা হবে না। অনেক দেশই দেখা হবে না। আগে মনে হত সব করতে পারব। এখন দায়িত্বের ভারে মাথা নুয়ে আসে বারবার। যাদের এখনও বয়স অনেক কম তাদেরকে হিংসে হয়। তাদের দায়িত্বের বোঝা অনেকের থেকে কম।

আমার মত স্বাধীনতা অনেকের নাই, আবার আমার মত শেকলও কেউ পরে নাই। আমরা সবাই আলাদা। 

একজন আত্মীয় সেদিন আমাকে বললেন, তিনি ফেইসবুকে আমার লেখা পড়েছেন। আমি মুচকি হাসলাম। কোন লেখাটা জিজ্ঞেস করাতে আর বলতে পারেন নাই। এমনই হয়... হুট করে কিছু একটা পড়ে ভাল লাগে, কিন্তু তারপর আর মনে থাকে না। বর্তমান হচ্ছে "ইনফরমেশন ওভারলোডেড" এর সময়। তথ্য সবচেয়ে বড় হাতিয়ার, এর যথেচ্ছা ব্যবহার হচ্ছে। তথ্য সন্ত্রাস ঘটছে প্রতিদিন। দিনকে রাত, আর সাদাকে কালো বানিয়ে দিতে পত্রিকা, ফেইসবুক আর টিভির জুড়ি মেলা ভার।

ফেইসবুকে আমি আমার লেখার নব্বই ভাগই শেয়ার করি না। এই জায়গাটা পঁচে গেছে। সস্তা কোমর দোলানো উলঙ্গ প্রজন্মের কাছে অর্থবহ লেখার কোন মানে নেই। নিজের জন্য তাই নিজেই একটা নোটবুক বানিয়ে নিয়েছি। এখানেই লিখি যত হাবিজাবি। যাদের একান্তই সময় আছে আমার মাথার ভেতরে উঁকি দেবার তারা এখানে এসেই আমার লেখা পড়বেন, দরকার হলে মন্তব্য করবেন। লেখালেখি কোন স্কুলের প্রতিযোগিতা নয় যে আমাকে সারাক্ষন সব কিছুতেই মতামত দিয়ে যেতে হবে। ফেইসবুক আর সোশ্যাল মিডিয়া হচ্ছে সবজান্তার জায়গা। সেখানে সবাই সবকিছু নিয়ে মতামত দেয়। আমার ভাল লাগে না। অনেক আগে যখন ফেইসবুক শুরু হয়েছিল তখন অনেক ব্যক্তিগত জিনিসই সেখানে শেয়ার করতাম। এখন আর করি না। অভিজ্ঞতা হয়েছে, চুল পেকে গেছে, আগের মত তারুন্য নেই। এখন বেশি পড়ি কম বলি।

রাজনীতি নিয়ে নিজের কিছু পর্যবেক্ষন আছে সেটাও এদেশে বলা যাবে না। সবাই চায় আপনি কোন না কোন দলকে বা মতকে সাপোর্ট করেন। মানুষ হিসেবে আমি সবার প্রতি ভদ্র আচরন করার চেষ্টা করি, কিন্তু সবার প্রতি বা সব মতের উপর আমার শ্রদ্ধা আছে, এটা আমি কোনদিন বলব না। 

আমি নিহিলিস্ট মানুষ, এটা অবশ্য অনেক পরে বুঝেছি। এই শব্দটার সাথেও পরিচিত ছিলাম না। জগতের বেশিরভাগ কাজই আমার কাছে অর্থহীন। সেই সাথে মনে হয় কিছুটা সেপিওস্যাক্সুয়ালও বটে। একারনেই অনেকের সাথে আমার জমে না। অযৌক্তিক কিছু দেখলেই ইচ্ছে করে কষে একটা চড় মেরে আসি। কিন্তু ক্ষমতা সীমিত, তাই নিজেকে নিবৃত্ত করি।

বাঙ্গালী হিসেবে জন্মেছি বলে আমার মাঝে আলাদা করে কোন অহংকার বা আবেগ কাজ করে না। বরঞ্চ পদে পদে ঝামেলায় জড়াতে হয় দেখে আফসোস হয় মাঝে মধ্যে। কুয়োর ব্যাঙ হতে পারলে ভালো হত। যারাই ভাল কিছু করতে চায়, তারা দেশ ছেড়ে ভেগে যায়। আমার সামর্থ্য থাকলে হয়ত আমিও  থাকতাম না এই নরকের মত শহরে।

এই শহরে নিজের একটা ছোট্ট আবাস করে নেয়ার চেষ্টায় এখনও পরিশ্রম করে যাচ্ছি, অথচ বয়স চলে যাচ্ছে। জগতের আনন্দের অনেক কিছুই দেখতে পারলাম না। আফসোস হয়। এখানে নুন আনতে পান্তা ফুরোয়, অথচ মানুষের লোভের শেষ নাই।

ঢাকার কোন জিনিসটা আমার কাছে বেশি খারাপ লাগে, এটা জানতে চাইল বলব - এখানে লোকেরা ভদ্রতাকে দূর্বলতা ভাবে। গালি দিয়ে নিজের শক্তি যাচাই করতে চায়।

দূরে চলে যেতে মন চায় মাঝে মাঝে, সবকিছু ছেড়ে দিয়ে অনেক দূরে।






সালতামামি ২০২৪

সূর্যের চারিদিকে একবার নিজের কক্ষপথ ভ্রমন করে আসলে এই গ্রহের মানুষেরা নববর্ষ উৎযাপন করে। ২০২৪ সাল চলে গিয়েছে, ২০২৫ এর দ্বিতীয় দিন আজ।

আমি গতবছরে এই সময়ে ছিলাম ভারতে। সেখানে ঢাকার আতশবাজি উৎসব দেখতে পারিনি। এবার দেখেছি, কিছুটা ভাল লেগেছে পরিচিত উন্মাদনা দেখে। মধ্যরাতের দশ মিনিট আগে শুরু হওয়া এই পটকাবাজি দেখে আপনি নিশ্চিত হয়ে যাবেন দেশের মানুষ এখনও খেতে পরতে পারছে। অহেতুক আনন্দ উল্লাস করছে।

আনন্দ সবসময়ই অর্থহীন। আমি একে কখনও খারাপ-ভালো কোন চোখে দেখি না। মানুষ যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী উৎসবে যোগ দেবে।

২০২৪ বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত ঘটনাবহুল একটা সময়। সরকার পতন এবং রাজনীতির গোলমেলে সময়ে, মানুষের ভাগ্য না বদলালেও, আমরা বদলে গেছি অনেক। একটা সত্য যে নানারকম ভাবে প্রকাশ করা যায়, এর যে ভিন্ন ভিন্ন চেহারা থাকতে পারে, তা এদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস না পড়লে বুঝতে পারবেন না।

আমাদের গণতন্ত্র নাই, অথচ বুক ফুলিয়ে সব রাজনৈতিক দল এককভাবে এর দাবি করে। সবাই একই দাবি করে অথচ কেউ গণতন্ত্রের পথে হাঁটে না।

আমার নিজের জন্য এ বছরটা খুব একটা ভালো যায়নি। অর্থনৈতিক এবং পারিবারিক সবদিকেই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। স্ত্রীর অসুস্থতা আর নিজের কাজে ফিরতে না পারা একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানসিকভাবেও অনেকদূর পিছিয়ে গেছি। নতুন কোন গল্প লেখা হয়নি। কবিতারা মাঝে মধ্যে উঁকি দেয়।

দেশের ব্যপারে আমি যে খুব বেশি মাথা ঘামাই তাও নয়। ছাগলের তিন নম্বরের বাচ্চা হবার থেকে চুপচাপ সব দেখে যাওয়াটাই উত্তম। তবে ২০২৪ সালে আমি শিখেছি - রাজনীতিবিদেরা আসলে জনগনের থেকে বেশি বোঝেন না। তারা যেটা বোঝেন সেটা আবার সাধারণ জনগন বোঝে না এবং মানেও না।

Politics is more about influence, than ideal - আদর্শের থেকে প্রভাব বিস্তার করাটাই রাজনীতিতে মূখ্য। সাধারণ জনগন এই জিনিসটাই বোঝে না। তারা নিজেরা চোর হলেও একজন আদর্শবান নেতা চায়। তিনি হবেন ফেরেস্তার মত। মাঝে মধ্যে দুষ্টামির জন্য একটু আধটু শাস্তি দেবেন মাত্র।

এদেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী মনে প্রানে সাম্প্রদায়িক। এরা ভোটের সময় চায় গনতান্ত্রিক পদ্ধতি আর শাসন ব্যবস্থা চায় খিলাফতের মত করে। 

ছাগলের কাছে কোয়ান্টাম ফিজিক্স ব্যাখ্যা করার মত করে দেশের টকশো ব্যবসায়ী চ্যানেল আর দেশীয়  বুদ্ধিজীবিরা প্রতিনিয়ত বকে যাচ্ছেন। পত্রিকায় আর কেউ নিউজ পড়ে না। বাঙালি আসলে পড়াশোনাটাই কম করে। এখন ইউটিউব আর ফেইসবুকে রাজনৈতিক বিশ্লেষন চলে। সেখান থেকেই আমরা বেছে নেই, কে ভালো আর কে খারাপ।

শেখ মুজিব মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সবথেকে বড় রাজনৈতিক নেতা থাকলেও আওয়ামীলীগের বর্তমান ব্যর্থতার কারনে ডি-ফেইমের শিকার হচ্ছেন। এমনকি তার ৭ই মার্চের ভাষনকেও এখন অনেকেই স্বাধীনতার ঘোষণা বলে মানতে নারাজ।

জিয়া একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং শেখ মুজিবের হয়ে স্বাধীনতার সংগ্রামের ঘোষনা পাঠকারী হলেও পরবর্তীতে গণতন্ত্রের পথে হাঁটেননি। 

আমাদের বিগত প্রধানমন্ত্রী যিনি পিতার কথা বলে সবসময় কেঁদে বুক ভাসাতেন, তিনিও একসময় ভোটে কারচুপি করলেন। হয়ে গেলেন স্বৈরাচারী।

স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার আগেই যারা যুদ্ধ শুরু করেছিল ২৫ তারিখেই তারা হচ্ছে পুলিশ। পুলিশ পাক-আর্মির কাছে আত্মসমর্পন না করে বিদ্রোহী হয়ে যুদ্ধ করাটাকেই শ্রেয় মনে করেছিল। অথচ এরাও একসময় দেশের জনসাধারনের উপর গুলি চালিয়েছে।

মাঝেমধ্যে বর্তমান অতীতকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে ফেলে।

এই জনপদে যেই নেতা হচ্ছে সেই পথভ্রষ্ট হচ্ছে। ক্ষমতার ধর্মই হচ্ছে তা নষ্ট হবে। এই কারনেই শাসনব্যবস্থা আর সংবিধানের এমন হওয়া দরকার যাতে কেউই খুব বেশি ক্ষমতাশালী হয়ে উঠতে না পারে।

২০২৪ বাংলাদেশের জন্য একটা দুঃসময়।

২০২৪ এ অনেক কিছু শিখেছি। 

শিখেছি, টাকা মানুষের সবথেকে বড় বন্ধু। টাকা দিয়ে তুমি এমন সব আনন্দ কিনতে পারবে যেটা সাধারনের দৃষ্টিতে অধরা অথবা হারাম। জগতের বেশিরভাগ সুখ আসলে পাপে।

- টাকা থাকলে তুমি তোমার সমস্যা সমাধান করতে না পারলেও আশেপাশের মানুষের সমস্যার সমাধান করতে পারবে।

- অতিরিক্ত অর্থ বলে কিছু নেই।

- ফাঁকা কলসি বাজে বেশি এবং গনতান্ত্রিক চোরেরা সবার থেকে বড় সাধু।

- এদেশের মেধাবীরা পড়াশোনার থেকে ক্ষমতা পাওয়াটাকে বেশি বড় করে দেখে। এজন্য দার্শনিক বা বৈজ্ঞানিক হবার থেকে তারা বিসিএস ক্যাডার অথবা রাজনৈতিক নেতা হওয়াটাকে প্রাধান্য দেয় বেশি। বিগত পঞ্চাশ বছরে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা সেটাই শিখিয়েছে এদের।

- ধর্ম শুধুমাত্র একটা নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থা। এর এপিঠ ওপিঠ বলে কিছু নেই। তুলনা শুধুমাত্র দুইটা ধর্মের মাঝে হতে পারে। ধর্ম আর বিজ্ঞানের মাঝে তুলনা করে অর্বাচীন।

- পৃথিবীতে টিকে থাকতে হলে প্রযুক্তি আর বিজ্ঞানের কোন বিকল্প নেই।

- যে কোন ধরনেই জাতীয়তাবাদি চেতনাই সমাজ, দেশ এবং পৃথিবীর জন্য ক্ষতিকর। 

- দান করলে তুমি বড়লোক হবে, এইটা একটা মিথ্যা প্রচারনা। 

২০২৪ সালে সব থেকে কঠিনভাবে উপলব্ধি করেছি, সুখে থাকতে গেলে তোমাকে স্বার্থপর হতে হবে। যে নিজে সুখি না, সে কোনভাবেই আরেকজনকে সুখে থাকতে দেবে না। এ ধরনের মানুষ অতি প্রিয়জন হলেও তাকে ত্যাগ করতে হয়।